বিশেষ সংবাদদাতা,কলকাতা:বাংলার অভিনেত্রীরা কেন বারবার অশ্লীল ইঙ্গিত বা কথার শিকার হচ্ছেন? পুরুষতান্ত্রিক সমাজে সিনেমার মহিলা শিল্পীরা কি আজও অপাংক্তেয়? এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে এক ট্যাক্সিচালক হেনস্তা করার ঘটনায়। রাতে নয়, দিনের বেলায় প্রকাশ্যে এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের সংস্কৃতির রাজধানী কলকাতা শহরে। যদিও মিমি চক্রবর্তীর অভিযোগে সেই ট্যাক্সিচালক গ্রেফতার হয়েছে।
সোমবার জিম করে বাড়ি ফেরার সময় বালিগঞ্জে এক মত্ত ব্যক্তি ট্যাক্সি নিয়ে তাঁর গাড়ি ওভারট্রেকের চেষ্টা করে। শুধু তাই নয়, তাঁকে ইঙ্গিত করে অশ্লীল ইঙ্গিতও করে। ক্ষুব্ধ মিমি গাড়ি থামিয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে সেই ট্যাক্সিচালক রীতিমতো অভব্য আচরণ করে। এমনকী, গালিগালাজ করে বলেও অভিযোগ। সঙ্গে সঙ্গে মিমি চলে যান গড়িয়াহাট থানায়। ওই ট্যাক্সিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তার পরই পুলিশ ওই ট্যাক্সিচালকের খোঁজ শুরু করে। রাতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই ট্যাক্সিচালককে ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩৫৪, ৩৫৪এ, ৩৫৪ডি এবং ৫০৯ ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলার অভিনেত্রীরা বারবারই পুরুষের কুৎসিত মন্তব্য বা ইঙ্গিতের সম্মুখীন হচ্ছেন। এর আগে বেশ কয়েকবার অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে তাঁর ফেসবুক পেজে অশ্লীল মন্তব্য করা হয়েছে। এমনকী, হিন্দি সিনেমার অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনা নিয়েও স্বস্তিকার একটি মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কুৎসিত ভাষায় অনেকে তাঁর সমালোচনা করেছেন। তবে স্বস্তিকা থেমে যাননি। মুখের ওপর সকলকেই কড়া জবাব দিয়েছেন।
আর কয়েকদিন আগেই অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে বাংলাদেশের কয়েকটি নম্বর থেকে বেশ কয়েকজন অশ্লীল মেসেজ করছে বলে তিনি নিজেই অভিযোগ করেছেন। কয়েকটি নম্বর তিনি ব্লক করে দিয়েছেন। তবু অন্য নম্বর থেকে একই মেসেজ আসতে থাকে বলে তিনি জানান। শেষে তিনি কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে গিয়ে অভিযোগ জানান। আর এবার খোদ কলকাতার রাজপথে সাংসদ মিমি চক্রবর্তীই হেনস্তার শিকার হলেন!